আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বগুড়া-১ (সোনাতলা–সারিয়াকান্দি) আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র কেন্দ্রীয় নেতা গাজী সালাউদ্দীন তানভীর। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন যে এই গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। দলীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে—গাজী সালাউদ্দীন তানভীর ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।

উন্নয়ন থমকে আছে—জনগণের জন্য কাজ করতেই নির্বাচন

গাজী সালাউদ্দীন তানভীর বলেন,
“বগুড়া-১ আসনে দীর্ঘদিন ধরে সুষম উন্নয়ন হয়নি। বহু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে পিছিয়ে পড়েছে সোনাতলা–সারিয়াকান্দির মানুষ। এলাকাবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তরুণদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন—
“আমি প্রত্যাশা করি, জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নেবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। শিক্ষা, কৃষি, অবকাঠামো ও কর্মসংস্থানে যুগোপযোগী উদ্যোগই হবে আমার মূল লক্ষ্য।”

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি: উন্নয়ন–কর্মসংস্থান–কৃষি

গাজী সালাউদ্দীন তানভীর নির্বাচনী প্রচারণায় যে বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন—

টেকসই উন্নয়ন ও অবকাঠামো সংস্কার

শিক্ষা খাতের আধুনিকায়ন ও মানোন্নয়ন

কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা, ন্যায্য মূল্য ও নিরাপত্তা

তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ

বন্যা–নদীভাঙন সমস্যা মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ

তার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি—এলাকার বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নের চাহিদা চিহ্নিত করে তিনি ইতোমধ্যে একটি বিশদ উন্নয়ন রূপরেখা তৈরি করেছেন, যা নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থাপন করা হবে।

গুরুত্বপূর্ণ আসন—প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে জমজমাট

বগুড়া-১ আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের একটি আলোচিত আসন। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কয়েকজন নতুন মুখও এবার মনোনয়ন চাইছেন। সেই তালিকায় এনসিপির হয়ে আগেভাগেই মাঠে নেমে গাজী সালাউদ্দীন তানভীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—
এনসিপির এই সক্রিয় উপস্থিতি নির্বাচনী সমীকরণে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটার ও প্রথমবারের ভোটারদের মধ্যে তানভীরের উপস্থিতি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় পর্যায়ে তৎপরতা—দিন-রাত বাড়ছে জনসংযোগ

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, বাজার, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কৃষক সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। তার এই সক্রিয় ভূমিকা স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। অনেকেই তাকে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে দেখছেন।