০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

বগুড়ায় ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ডিবিএন প্রতিবেদক

  • আপডেট সময় ০৪:২২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার সোনাতলায় পৌরসভা ও থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এক পরিবারে ওপর অবৈধভাবে বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙচুর, বাড়িতে প্রবেশ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোনাতলা নতুন বন্দরের বাসিন্দা মোঃ আলমগীর হোসেন বৃহস্পতিবার বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সোনাতলা পৌর সদরের গড়ফতেপুর মৌজার হাল দাগ নং ১০৭–এ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। বহু বছর আগে বাউন্ডারি না থাকায় মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে তাদের জমির ওপর দিয়ে ৫ ফুট প্রশস্ত ইটের রাস্তা নির্মাণ করে পৌরসভা। এই রাস্তার ওপর পাশের জমির মালিকদের কোনো অধিকার নেই বলে দাবি করেন তিনি।

সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তা ৫ ফুট থেকে ৭ ফুটে প্রশস্ত করে পাকাকরণে টেন্ডার আহ্বান করে। আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ তাদের জায়গার ওপর জোরপূর্বক রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয়। পরে জমির সীমানা নির্ধারণ করে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে নতুন যোগদান করা সোনাতলা থানার ওসি রওশন কবীর প্রাচীরের ভেতরের গাছ কাটতে ১৫ দিনের নির্দেশ দেন এবং কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও কয়েক দফা বাড়িতে এসে ভয়ভীতি ও গ্রেফতারের হুমকি দেন।

তিনি দাবি করেন, ওসি রওশন কবীর পাশের জমির মালিক ও বর্তমান খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ রেজাউল করিম রেজার আত্মীয় হওয়ায় পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে শিবগঞ্জ সার্কেল অফিস গত ১০ নভেম্বর তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে।

অভিযোগপত্রে আরও জানানো হয়, ১২ নভেম্বর পৌরসভায় ডাক পাওয়ার পরও প্রকৌশলীকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু সেদিনই বিকেলে পৌর প্রকৌশলী মোঃ আবু শাহীন, সোনাতলা থানার ওসি রওশন কবীর, পুলিশ ফোর্স এবং স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক তার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলে। বাধা দিতে গেলে তার ছোট বোন মৌসুমী আখতারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানান।

এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবীর বলেন, পৌরসভা আমার থেকে পুলিশ চেয়েছিল আমি পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করেছিলাম এই জন্যই তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
তথ্যসুত্র চযানেল 10

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বগুড়ায় ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৪:২২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

বগুড়ার সোনাতলায় পৌরসভা ও থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এক পরিবারে ওপর অবৈধভাবে বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙচুর, বাড়িতে প্রবেশ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোনাতলা নতুন বন্দরের বাসিন্দা মোঃ আলমগীর হোসেন বৃহস্পতিবার বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সোনাতলা পৌর সদরের গড়ফতেপুর মৌজার হাল দাগ নং ১০৭–এ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। বহু বছর আগে বাউন্ডারি না থাকায় মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে তাদের জমির ওপর দিয়ে ৫ ফুট প্রশস্ত ইটের রাস্তা নির্মাণ করে পৌরসভা। এই রাস্তার ওপর পাশের জমির মালিকদের কোনো অধিকার নেই বলে দাবি করেন তিনি।

সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তা ৫ ফুট থেকে ৭ ফুটে প্রশস্ত করে পাকাকরণে টেন্ডার আহ্বান করে। আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ তাদের জায়গার ওপর জোরপূর্বক রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয়। পরে জমির সীমানা নির্ধারণ করে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে নতুন যোগদান করা সোনাতলা থানার ওসি রওশন কবীর প্রাচীরের ভেতরের গাছ কাটতে ১৫ দিনের নির্দেশ দেন এবং কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও কয়েক দফা বাড়িতে এসে ভয়ভীতি ও গ্রেফতারের হুমকি দেন।

তিনি দাবি করেন, ওসি রওশন কবীর পাশের জমির মালিক ও বর্তমান খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ রেজাউল করিম রেজার আত্মীয় হওয়ায় পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে শিবগঞ্জ সার্কেল অফিস গত ১০ নভেম্বর তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে।

অভিযোগপত্রে আরও জানানো হয়, ১২ নভেম্বর পৌরসভায় ডাক পাওয়ার পরও প্রকৌশলীকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু সেদিনই বিকেলে পৌর প্রকৌশলী মোঃ আবু শাহীন, সোনাতলা থানার ওসি রওশন কবীর, পুলিশ ফোর্স এবং স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক তার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলে। বাধা দিতে গেলে তার ছোট বোন মৌসুমী আখতারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানান।

এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবীর বলেন, পৌরসভা আমার থেকে পুলিশ চেয়েছিল আমি পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করেছিলাম এই জন্যই তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
তথ্যসুত্র চযানেল 10