শীতে শরীর চুলকায় কেন? করণীয় কী
ডিবিএন প্রতিবেদক
- আপডেট সময় ১১:২০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে
শীতকাল এলে লেপ মুড়ে ঘুমাতে আর পিঠা পুলি খেতে ভালো লাগে এ কথা ঠিক, কিন্তু এসময় বেড়ে যায় চুলকানি। হিমেল বাতাস বইতে শুরু করলেই শরীর, হাত-পা চুলকানো শুরু হয়। ত্বকের এই সমস্যা অনেকের ঘুম কেড়ে নেয়। কিন্তু কেন এমন হয়? শীতকালীন চুলকানি থেকে মুক্তির উপায়ই বা কী? চলুন জেনে নিই-
১. শুষ্ক বাতাস ও আর্দ্রতার অভাব
শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। এই শুষ্ক বাতাস ত্বক থেকে দ্রুত জলীয় অংশ শুষে নেয়। ফলে ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের বাইরের সুরক্ষার স্তর দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে চুলকানি, ত্বক ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
২. অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার
শীতকালে আরামের জন্য অনেকেই অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করে। এটি সাময়িকভাবে আরাম দিলেও ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে দেয়। আর এই প্রাকৃতিক তেল ত্বককে আর্দ্র রাখে। এটি চলে গেলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে চুলকানি দেখা দেয়।
৩. গরম পোশাকের ঘষা
উল বা কিছু সিনথেটিক পোশাকের তন্তু খুব রুক্ষ হয়। এগুলো সংবেদনশীল ত্বকে ঘষা বা ইরিটেশন সৃষ্টি করে। ফলে চুলকানি হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত গরম পোশাক পরার ফলে শরীরের যে ঘাম হয়, তা থেকেও অ্যালার্জি বা চুলকানি হতে পারে।
৪. অন্যান্য চর্মরোগের বৃদ্ধি
শীতের শুষ্কতায় একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগগুললো বেড়ে যায়। এটিও চুলকানির কারণ।
শীতে চুলকানি থেকে মুক্তির সহজ উপায়
১. আর্দ্রতা বজায় রাখুন (ময়েশ্চারাইজিং হল মূল চাবিকাঠি)
গোসলের পর ত্বক সামান্য ভেজা থাকতেই ঘন, তেল-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, অয়েনমেন্ট বা লোশন ব্যবহার করুন। গ্লিসারিন, শিয়া বাটার বা পেট্রোলিয়ামযুক্ত ক্রিম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যখনই ত্বক শুষ্ক মনে হবে, তখনই ময়শ্চারাইজার মাখুন।
২. গোসলের অভ্যাসে পরিবর্তন
অতিরিক্ত গরম পানির পরিবর্তে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে গোসল শেষ করুন। মৃদু, সুপার-ফ্যাটেড এবং সুগন্ধিমুক্ত সাবান ব্যবহার করুন।
৩. পোশাক ও পরিবেশ
সরাসরি উলের পোশাক না পরে তার নিচে সুতির নরম পোশাক পরুন। শীতকালেও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র থাকবে। বাইরে বের হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। কেননা শীতের রোদও ত্বককে শুষ্ক করে দেয়।
৪. জরুরি উপশম
চুলকানি খুব বেশি হলে আক্রান্ত স্থানে ৫-১০ মিনিটের জন্য একটি ঠান্ডা, ভেজা তোয়ালে বা বরফের প্যাক দিয়ে সেঁক দিন। এতে স্বস্তি মিলবে।
শীতকালে চুলকানি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। সঠিক যত্ন নিলে এই অস্বস্তি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।












