০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলন প্রতারণা মামলায় কারাগারে

ডিবিএন প্রতিবেদক

  • আপডেট সময় ১২:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হামিদুল আলম মিলন প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রতারণা মামলা নং ২১৭৩/২৫ (ধারা ৪০৬/৪২০/১০৯)–এর অধীনে সোমবার ১৭ নভেম্বর দুপুরে তিনি বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–২-এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মেহেদী হাসান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সারিয়াকান্দী উপজেলার বাসিন্দা হামিদুল আলম মিলন প্রায় চার দশকের পুলিশ ক্যারিয়ারে মহানগর, রেঞ্জ ও সদর দপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে বছরের পর বছর তার কর্মজীবনে বিভিন্ন বিতর্কের ছায়া ছিল সুস্পষ্ট।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অভিযোগ ছিল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে অসুস্থতার অজুহাতে ছুটিতে থাকলেও তিনি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দী–সোনাতলা) আসনে তার স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি অংশ নেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নেও তিনি সক্রিয় ছিলেন বলে তদন্তে উঠে আসে। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিসিপ্লিন উইং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার না করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।

তার বিরুদ্ধে নতুন করে দায়ের হওয়া প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার ও আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে অনেকে তার ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা’ হিসেবে দেখছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন, পাশাপাশি বিচারিক প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলন প্রতারণা মামলায় কারাগারে

আপডেট সময় ১২:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হামিদুল আলম মিলন প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রতারণা মামলা নং ২১৭৩/২৫ (ধারা ৪০৬/৪২০/১০৯)–এর অধীনে সোমবার ১৭ নভেম্বর দুপুরে তিনি বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–২-এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মেহেদী হাসান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সারিয়াকান্দী উপজেলার বাসিন্দা হামিদুল আলম মিলন প্রায় চার দশকের পুলিশ ক্যারিয়ারে মহানগর, রেঞ্জ ও সদর দপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে বছরের পর বছর তার কর্মজীবনে বিভিন্ন বিতর্কের ছায়া ছিল সুস্পষ্ট।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অভিযোগ ছিল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে অসুস্থতার অজুহাতে ছুটিতে থাকলেও তিনি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দী–সোনাতলা) আসনে তার স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি অংশ নেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নেও তিনি সক্রিয় ছিলেন বলে তদন্তে উঠে আসে। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিসিপ্লিন উইং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার না করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।

তার বিরুদ্ধে নতুন করে দায়ের হওয়া প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার ও আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে অনেকে তার ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা’ হিসেবে দেখছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন, পাশাপাশি বিচারিক প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।